
ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে‘দানা’। এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে এবং এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন উপকূলের মানুষ। এমন অবস্থায় সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় দানা বাংলাদেশের সমতলে প্রবেশ করার কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অথবা উড়িষ্যা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে পড়তে পারে দেশের খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের জেলাগুলোতে। এছাড়াও সারাদেশে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানা সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর ভোর সাড়ে পাঁচটায় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তীব্র ঘূর্ণিঝড় দানা পারাদ্বীপ থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। বাংলায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷ এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়াতে।