
ছবি সংগৃহীত:
দৈনিক শেরপুর রিপোর্ট।।
“ইনশাল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমি কোচ হ্যাভিয়ের কাভরেরার লগে মাতছি বহুত্তা। আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস করতাম ফারমু।”
(অর্থ: “ইনশাল্লাহ, আমরা জিতব। আমি কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। আমরা জিতে পরবর্তী ধাপে যেতে পারব।”)
আজ ১৭ মার্চ, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই স্বপ্নের কথা বললেন তারকা ফুটবলার হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশ ফুটবলের নতুন অধ্যায়ের অন্যতম প্রতীক হয়ে জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন তিনি।
প্রবাসীদের হাত ধরে ফুটবলে নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের ফুটবলে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা নতুন কিছু নয়। ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সালে জাতীয় দলে অভিষেকের পরই নজর কাড়েন। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
এরপর ২০১৯ সালে ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী জাতীয় দলে যোগ দেন। এবার দলে যুক্ত হয়েছেন সবচেয়ে বড় তারকা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। লিস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার বর্তমানে ধারে খেলছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডে। তার সঙ্গে বাংলাদেশ দলে যুক্ত হয়েছেন আরও এক প্রবাসী ফুটবলার, ইতালি প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলাম।
হামজাকে পেতে দীর্ঘ প্রচেষ্টা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) দীর্ঘদিন ধরে হামজাকে পেতে কাজ করে গেছে। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলার কারণে তার পক্ষে জাতীয় দলে খেলা সহজ ছিল না। ২০২৪ সালে লিস্টার সিটি ও ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ফিফার অনুমতি নিতে আরও কয়েক মাস লেগে যায়।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হতে পারে হামজার।
ফাহমিদুল: আলোচনার আড়ালে এক নতুন বিস্ময়
হামজাকে নিয়ে যখন ফুটবলপ্রেমীদের আলোচনা তুঙ্গে, তখন জাতীয় দলে চুপিসারে যোগ দিয়েছেন ইতালি প্রবাসী ফাহমিদুল ইসলাম। তার ব্যাপারে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করেনি বাফুফে।
১৮ বছর বয়সী এই ফুটবলার ইতালির সিরি’এ ডি লিগের ক্লাব ওলবিযা ক্যালসিওর হয়ে লেফট-ব্যাক ও লেফট উইং-ব্যাক পজিশনে খেলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সৌদি আরবের ক্যাম্পে আছেন এবং প্রস্তুতি ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন।
নতুনদের হাত ধরে স্বপ্নের পথে বাংলাদেশ
হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুল ইসলামসহ প্রবাসী তারকাদের সংযুক্তি বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এবার দেখার পালা, এই নতুনরা কি সত্যিই বাংলাদেশ ফুটবলের ভাগ্য বদলাতে পারবে?