রংপুর একটি ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহর, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এই শহরের ইতিহাস প্রাচীন ও উদাত্ত যাত্রায় নিয়েছে। রংপুরের ইতিহাসে বিভিন্ন যুগের প্রভাব দেখা যায়, যেমন পাল রাজবংশ, সেন রাজবংশ, মুঘল শাসন, ব্রিটিশ শাসন ইত্যাদি।

প্রাচীন কালে রংপুর একটি কৃষি ও কোমর অঞ্চল ছিল। এই অঞ্চলের অধীনে বিভিন্ন রাজবংশের শাসন হয়েছিল। এখানে প্রাচীন মন্দির, পাহাড়গড়, এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য রক্ষালয় পাওয়া যায়। প্রাচীন সময়ে রংপুর একটি পর্যটন ও শিক্ষার কেন্দ্র ছিল। মুঘল বাদশাহের শাসনকালে রংপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হয়ে উঠে। এই সময়ে রংপুর একটি প্রভাগ হিসেবে পরিচিত হতে লাগে। রংপুরে মুঘল বাদশাহের সেনা এবং প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান ছিল। এই সময়ে রংপুরে প্রচুর অবস্থান পাওয়া যায় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গঠনের, যেমন মসজিদ, মন্দির, গুরুদ্বারা, ইত্যাদি।

ব্রিটিশ শাসনের কালেও রংপুর গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ব্রিটিশ শাসনকালে রংপুর একটি প্রভাগ প্রশাসনিক ও শিক্ষার কেন্দ্র হিসাবে উন্নত হয়ে উঠে। এই সময়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বিদ্যালয়, কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ শাসনের কালে রংপুরে শিক্ষা, সাহিত্য, ও সংস্কৃতির উন্নতি হয়। বর্তমানে রংপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্নিবেশন ও অর্থনৈতিক হাব। এটি বিভিন্ন শিক্ষানিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্যিক প্রতিষ্ঠান অবস্থিত।

রংপুরের ঐতিহাসিক পার্শ্ববর্তী এলাকা হিসেবে এখনও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্মৃতির অবস্থান করে। এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গঠন পাওয়া যায়, যেমন মন্দির, বাসরী, গুরুদ্বারা, খ্রিস্টান গির্জা, ইত্যাদি। এই এলাকায় প্রাচীন ইতিহাসে সুনামে বিভিন্ন গভীর প্রাচীন মন্দিরের অবস্থান পাওয়া গেছে, যেমন কুটীরমাথ মন্দির, মহাস্থানগড় ইত্যাদি। রংপুরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব মুলত রাজা মন্ত্রিসীম রাজা গৌর গোবিন্দ চৌধুরীর সাম্রাজ্যিক শাসনের সময়ে দেখা যায়। তার শাসনামলে এই এলাকা অত্যন্ত উন্নতি লাভ করে। রাজা গৌর গোবিন্দ চৌধুরী প্রাচীন রংপুরের একজন অত্যন্ত গুণী রাজা হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার শাসনে রংপুর অত্যন্ত সমৃদ্ধ হত। তার শাসনে বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রকল্প এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

রংপুরের ঐতিহাসিক স্মৃতি রেখাঙ্কিত করা হয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন, যেমন রংপুর রাজবাড়ী, কুটীরমাথ মন্দির, নিমাইচাঁদ মন্দির, রাজবাড়ী উদ্যান, ইত্যাদি। এই ঐতিহাসিক ভবন রংপুরের ঐতিহাসিকতার সাক্ষী হিসেবে দাখিল করা হয়েছে বিভিন্ন প্রাচীন ও ঐতিহাসিক ঘটনার। রংপুর সিল্ক পথের প্রধান অংশ হিসেবে পরিচিত এবং প্রাচীন সময়ে সোনারগাঁও নামক একটি প্রাচীন শহরের পর্যটন ও বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল। রংপুরের অধিকাংশ জনগণের আজও গুপ্তচর ও বাস্তবতা পরিচালিত হয় প্রাচীন ব্যবস্থার সাথে।

এখনও রংপুরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক ভবন ও স্মৃতিস্তম্ভ আছে, যেমন রংপুর রাজবাড়ী, পাগলা মন্দির, তাজহাট রাজবাড়ী, ইত্যাদি।