
ছবি : বাবার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করছেন নারী প্রতিমাশিল্পী দিশা ও যূথীমনি
দৈনিক শেরপুর রিপোর্ট ।।
অনলাইনভিত্তিক সনাতনী গ্রুপ ‘শেরপুর জেলার পূজা পার্বণ গ্রুপ’র উদ্যোগে দুই প্রতিমাশিল্পীকে মরণোত্তর বীণাপাণি সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বসন্ত পঞ্চমীর পূণ্যতিথিতে শেরপুর শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকার লোকনাথ মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা পার্বণ গ্রুপের এডমিন জয় বসাক।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মগ্রন্থ গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর শেরপুর জেলার স্বনামধন্য প্রতিমাশিল্পী সদ্যপ্রয়াত ভূপেন্দ্র কিশোর নাগ ও দিলীপ কুমার পালকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মাননা হিসেবে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত ক্রেস্ট গ্রহণ করেন প্রয়াত ভূপেন্দ্র কিশোর নাগের ছেলে সঞ্জিত চন্দ্র নাগ এবং প্রয়াত দিলীপ কুমার পালের মেয়ে নারী প্রতিমাশিল্পী দিশা রানী পাল ও যূথীমনি পাল।
পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবীণ প্রতিমাশিল্পী স্বপন চন্দ্র দাস, বিশিষ্ট শিক্ষক ও পুরোহিত বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সাংবাদিক দেবাশীষ সাহা রায়, জেলা পূজা পার্বণ গ্রুপের সদস্য রাহুল বিশ্বাস, আশীষ কুমার বর্মণ, মিঠুন দাম ও শান্ত সূত্রধর।
প্রয়াত প্রতিমাশিল্পী দিলীপ কুমার পালের পক্ষে সম্মাননা হিসেবে ক্রেস্ট গ্রহণ করে তাঁর মেয়ে নারী প্রতিমাশিল্পী দিশা রাণী পাল বলেন, ‘আমার বাবা শেরপুর জেলার একজন স্বনামধন্য প্রতিমাশিল্পী ছিলেন। বাবা সারা জীবনে লক্ষাধিক প্রতিমা তৈরি করেছিলেন। এসব প্রতিমায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও পূজারিরা অর্ঘ্য নিবেদন করেছেন। তাই বাবার ঐতিহ্য এই শিল্পকর্মকে ধরে রাখতে যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব।’
প্রয়াত বাবাকে সম্মাননা প্রদান করার জন্য শেরপুর জেলার পূজা পার্বণ গ্রুপ এবং অতিসম্প্রতি তাঁদের দুই বোনকে (দিশা ও যূথীমনি) নিয়ে বিশেষ সচিত্র ও ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করায় জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দিশা রাণী পাল।
পরে পুজা পার্বণ গ্রুপের উপজেলা পর্যায়ের এডমিন প্যানেলের প্রতিনিধিদের সম্মাননা ও সর্বাধিক পোস্টদাতাকে পুরস্কার এবং শুভেচ্ছা ব্যানার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে পূজা পার্বণ গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত অনেক সদস্য ও স্থানীয় সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।