
শবে কদর ইসলামের একটি অত্যন্ত মহত্বপূর্ণ রাত। এটি রমজানের অন্যতম একটি রাত, যা অত্যন্ত বরকতময় এবং মাগফিরতের রাত। কুরআনে ও হাদিসে শবে কদর এর ফজিলত সম্পর্কে অনেক উল্লেখ রয়েছে।
কুরআনে শবে কদর নিয়ে উল্লেখ রয়েছে নিম্নলিখিত আয়াতে:
“ইন্না আন্না হোয়া লায়লাতুল কাদর”
(সূরা আল কাদর: ১)
এই আয়াতে প্রকাশিত হয়েছে যে, শবে কদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অতীতে আল্লাহ তাআলা তার রহমত এবং করুণা নিয়ে নাজিল করেন।
হাদিসে শরীফে প্রভু প্রেরণ করেছেন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (রাঃ) থেকে, যেখানে তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি শবে কদরের মধ্যে ঈমান এবং সম্মানের সহিত সব ক্ষুধার্ত, দোয়ার্ত, রাতের বাকি সমস্ত সময় ঈবাদতে গুনগানে এবং কোনো পাপ করতে পারে না, তার সব পূর্বের পাপ মাফ করা হবে।”
এতে স্পষ্ট হয়েছে শবে কদর এর গুরুত্ব এবং এর ঈবাদতের মহাত্ম্য। মুসলিম এই রাতে প্রার্থনা, কুরআনের তিলাওয়াত, জিকির, দো‘আ এবং অন্যান্য ইবাদত করে আল্লাহর অমীমনিশের কাছে মাগফিরত ও বরকত অর্জন করতে চেষ্টা করে।
শবে কদরের রাতে মুসলিমদের একাধিক ইবাদত ও আমলের কিছু নির্দিষ্ট করনীয় রয়েছে:
1. **নামাজ**: এই রাতে নাফল নামাজ পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নামাজের সময়ে সুযুক্ত তাকবীর, তাহমীদ, তাহলীল, তাসবীহ এবং দো‘আ পড়া হুকুম রয়েছে।
2. **কুরআন তিলাওয়াত**: শবে কদরের রাতে কুরআনের তিলাওয়াত করা একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ। কুরআন পড়া, সময় বিশেষ প্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং এটি বহু সওয়াবের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরত অর্জন করে।
3. **দু‘আ করা**: সমস্ত মুসলিমের জন্য দো‘আ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর পক্ষে মাগফিরত, বরকত, সুস্থতা, দীর্ঘায়িত জীবন এবং প্রত্যাশিত আখেরাতের ফলের জন্য দো‘আ করা উচিত।
4. **জিকির ও দু‘আ**: শবে কদরে অনেক জিকির ও দু‘আ পড়ার উপায় রয়েছে। “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” এবং “আস্তাগফিরুল্লাহ” এগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিকির।
5. **ছাই করা**: শবে কদরে ছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই রাতে আমল করে জান পাওয়া সম্ভব।
এই মহান রাতে সমস্ত মুসলিমের জন্য একাধিক ইবাদত এবং আমল সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে আমল করে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরত অর্জন করা সম্ভব।