নিউজডেস্কঃ
শেরপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক। অন্যদিকে নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হচ্ছেন শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুক্তাদিরুল আহমেদ।
গত রোববার নকলা ও নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল।
তথ্যের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ারুল হককে সন্ধ্যে সোয়া ছটা থেকে রাত সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পাঁচবার ফোন দেওয়ার পর তিনি দেই দিচ্ছি করতে থাকেন। অবশেষে রাত সাড়ে সাতটার দিকে তিনি জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাকে তথ্য দেননি।
তাই তিনি মনোনয়ন দাখিলের সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। রাত সাড়ে সাতটার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ মুক্তাদিরুল আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এখনো স্বাক্ষর হয়নি হলে সার্কুলেট করা হবে। এ সময় তিনি মৌখিকভাবে সংখ্যার তথ্য দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের নাম বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন স্বাক্ষর হওয়া না পর্যন্ত বলা যাবে না।
এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের তথ্য দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি।
শ্রীবরদি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সেই দিন ছিল আজ ২২ এপ্রিল সোমবার। তথ্য জানার জন্য গন মাধ্যম কর্মীরা অসংখ্যবার ফোন দিলেও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক ফোন ধরেননি। ফলে
উপজেলা নির্বাচনের তথ্য নিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যম কর্মী শান্ত রায় বলেন অফিসে গেলেও তথ্য পাওয়া যায় না। আবার ফোন করলেও কর্মকর্তারা ধরেন না। তারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। নির্বাচনের তথ্য নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এতে করে সাংবাদিক মহল বিক্ষুব্ধ।
সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুম এর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে গণমাধ্যমের সহায়তা অবশ্যই প্রয়োজনীয়। তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হবে।