
দৈনিক শেরপুর রিপোর্ট।।
শেরপুরে দুই সন্তানের জনক এক কলেজ শিক্ষক ও একই কলেজের ছাত্রীর পরকীয়ার জেরে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে তাৎক্ষণিক বদলির বিষয়ে উপর মহলে জানানো হয়েছে এবং ওই শিক্ষার্থীকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ওই শিক্ষকের (প্রভাষক মইদুজ্জামান) বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বাজারদী গ্রামে। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি ২০২১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে যোগদান করেন।
একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদা ইসলাম স্বর্ণার সাথে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন প্রভাষক মইদুজ্জামান। স্বর্ণা শ্রীবরদী উপজেলার চৈতাজানী গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এদিকে শিক্ষক-ছাত্রীর পরকীয়ার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায় এবং মেসেঞ্জারে তাদের আপত্তিকর বার্তা আদান-প্রদানের স্ক্রিনশট ও ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থী এবং সুধীজনের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানান এবং ওই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিচার দাবি করেন।
ঘটনা জানতে পেরে অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাওজিয়া আমিন দিনা তাৎক্ষণিক ওই শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর পরিবারকে খবর দিয়ে কলেজে নিয়ে আসেন। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই শিক্ষককে তাৎক্ষণিক বদলির জন্য ডিজি অফিসে লিখিত চিঠি পাঠান এবং ওই শিক্ষার্থীকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে দেনদরবার করে উভয় পরিবার মিমাংসায় পৌঁছেন। মীমাংসার শর্ত অনুযায়ী রাতেই স্থানীয় একটি কাজী অফিসে গিয়ে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। আন্দোলনের খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এ সময় অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।
এ বিষয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাওজিয়া আমিন দিনা জানায়, “শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী মূলত ঘটনাটি ঘটেছে কলেজের বাইরে একটি কোচিং সেন্টারে। কলেজের ভাবমূর্তি রক্ষায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ওই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।