নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলার চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ছোট-বড় ২৬টি গাছ কেটে নিয়ে উলটা মিথ্যা মানববন্ধন ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিক ভাবে হেয় করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জানকীপুর এলাকার ভুক্তভোগী গোলাম মাছুম ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় নকলা পৌরসভার গ্রিনরোডে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আদালতের চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জবর দখল করার অভিযোগ তুলে এবং সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী গোলাম মাছুম বলেন, ‘আমার বাবা ৯৯ বছর আগে (১৯২৬ সালে) আরওআর ৬১, বিআরএস ৭৪, সাবেক দাগ ৪৫০ ও ১৪০০ নং হাল দাগে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে ওই জমিতে গাছ রোপণ করেন। কিন্তু জনবল ও টাকার জোরে ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর দুপুরের দিকে ক্রয়কৃত ওই জমি অবৈধভাবে দখল করার জন্য মীর মোস্তফা গংরা হামলা করে। পরে ২৪ নভেম্বর সহকারী জজ আদালত নকলা, শেরপুরে বিবাদীদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করি। আদালত ২০২৪ সালের ১২ জুন বিবাদীপক্ষের বিরুদ্ধে একতরফা সূত্রে বিনা খরচায় ডিক্রি ও চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। এরপর থেকেই বিবাদীপক্ষ বেপরোয়া হয়ে উঠে। সর্বশেষে চলতি মাসের ৫ তারিখে লোকজন নিয়ে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নালিশি ভূমির ছোট-বড় ২৬ টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। পরে বাধ্য হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করি। মামলার সূত্রে পুলিশ ঘটনাস্থলে কয়েকবার গিয়ে বিবাদীপক্ষের কাউকে না পেয়ে স্থানীয়দের জানিয়ে আসেন যেন আদালত কর্তৃক চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করা না হয়। মামলা থেকে রেহাই পেতে বিবাদীপক্ষ উলটা আমাকে ও উচ্চপদে কর্মরত আমার ছেলে ও মেয়েকে সামাজিকভাবে হেয় করার লক্ষ্যে মানববন্ধন করে ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানহানিকর খবর প্রকাশ করা হয়। এতে আমি ও আমার সন্তানরা সামাজিক ভাবে হেয় হয়েছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। পাশাপাশি আমার ও আমার ছেলে-মেয়ের মানসম্মান হানীর সঠিক বিচার কামনা করছি।’
এসময় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি দ্রুত সুরাহা না হলে যেকোনো সময় খুন খারাপিসহ সংশ্লিষ্ট পরিবারে প্রতি আইনের চরম অবনতির কিছু হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।