নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শেরপুরের নকলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার (১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ এবং বিভিন্ন স্থাপনাসমূহ বিভিন্ন ভাবে সজ্জিত করা হয়। এছাড়া শিশুদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকরি ভবন/প্রতিষ্ঠানের স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে ৩১ (একত্রিশ) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনার পরেই সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজ প্রাঙ্গনে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার সময় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে বাংলাদেশ পুলিশ, ব্যাটালিয়ন আনসার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন ও সালাম গ্রহন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপ জন মিত্র নকলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান। সাড়ে ১০ টার সময় চারু, কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের প্রদর্শনীর লক্ষ্যে দিনব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়। এ মেলা চলে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। সকাল ১১ টার সময় উপজেলা মুক্তমঞ্চ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বাদ যোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদ/আত্মদানকারী/যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উপজেলার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত বা প্রার্থনা করা হয়। দুপুর ২টার সময় হাসপাতাল ও এতিম খানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশ করা হয়।
সবশেষে সন্ধ্যা ৬টার সময় উপজেলা পরিষদ মুক্তমঞ্চ মাঠে পুরস্কার বিতরণী ও মনোঙ্গ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এসময় উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, নকলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় সাংবাদিকগন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে উপজেলার বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার আয়োজনে ও সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এদিবস উপলক্ষ্যে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে একটি দেওয়াল পত্রিকা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, একটি উদযাপন কমিটি ও ৮ টি উপ-কমিটির সদস্যদের সরাসরি তত্বাবধানে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মসূচি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করা হয়। এছাড়া উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রায় দেড়শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩০টি স্কুল, ২০ মাদ্রাসা ও ৭ টি কলেজের প্রায় সব কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয়োজনে আলাদা ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৪ সল্প পরিসরে উদযাপন করা হয়েছে।