নিজস্ব প্রতিবেদক।।
শেরপুরের নকলা থানার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ (২০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। মঙ্গলবার বিকেলে র্যাবের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ জুলাই সকাল পৌনে আটটায় জামালপুর জেলার সদর থানার গোপালপুর বাজার এলাকা হতে আসামি সাব্বিরকে গ্রেফতার করে র্যাব। সাব্বির নকলা উপজেলার রুনীগাঁও গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে। তাকে নকলা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদের নানা বাড়ি নকলা থানার নয়াবাড়ী গ্রামে। সে প্রায়ই নানা বাড়িতে যাতায়াত করতো। সেই সূত্রে প্রেম নিবেদনের এক পর্যায়ে স্কুলপড়ুয়া ভিকটিমের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ভিকটিমের সাথে বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ভিকটিম।
সাব্বির কৌশলে ভিকটিমকে এমএমকিট ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এতে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। পরে ভিকটিম সাব্বিরকে বিবাহের কথা বললে সাব্বির কৌশলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভিকটিম সবকিছু তার ভাই মো. ছফির উদ্দিন কে জানায়। এতে ছফির উদ্দিন সাব্বিরের বাড়ীতে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে যান। তবে সাব্বির ও বিবাদীরা তাকে গালিগালাজ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। সাব্বির ভিকটিমকে বিবাহ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
পরে ছফির উদ্দিন বাদী হয়ে গত ১৬ জুলাই নকলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে (নং-১৫/১৪১)।
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আত্মগোপনে চলে যায় আসামি সাব্বির। অবশেষে সোমবার সকালে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় সাব্বির।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত মো. আবুল কাশেম বলেন, “আসামি সাব্বিরকে আজ মঙ্গলবার শেরপুরে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”