নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম ও জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বানেশ্বর্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত-এঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফ হাসান।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া প্রমুখ। সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহাম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাফিজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক এ.এস.এম.বি করিম শাহজাহান, ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার আব্দুস সবুর রনি, যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম সিঞ্জু, নকলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসাইন, প্যানেল চেয়ারম্যান উছমান আলীসহ সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও ইউপি সাধারণ সদস্যগণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মতো এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে বক্তারা জানান, সরকার আপাতত ৪টি স্কিমের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেছেন। যেকোনো শ্রেণি পেশার যেকেউ চাইলে অনলাইন প্লাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে যোগ্যতা অনুযায়ী যে কোনো একটি পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
পেনশন স্কিম চারটি হলো: ১। সমতা স্কিম, যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য মাসিক এক হাজার টাকা। এর মধ্যে স্কিম গ্রহীতা দেবেন ৫০০ টাকা আর সরকার দেবেন ৫০০ টাকা। এভাবে ১০ বছর সঞ্চয়ের পর তারা মাসিক পেনশন পাবেন এক হাজার ৫৩০ টাকা করে।
২। সুরক্ষা স্কিম, এর আওতায় স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ মাসিক এক হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা জমা করতে পারবেন। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর তারা মাসিক পেনশন পাবেন এক হাজার টাকার স্কিমের জন্য এক হাজার ৫৩০ টাকা, ২ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৩ হাজার ৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৪ হাজার ৫৯১ টাকা ও ৫ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৭ হাজার ৬৫১ টাকা করে।
৩। প্রগতি স্কিম, এর আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক মাসিক ন্যূনতম ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার অর্ধেক দেবেন কর্মী নিজে এবং অর্ধেক চাঁদার টাকা প্রতিষ্ঠান বা মালিক পক্ষ প্রদান করবেন। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান এই স্কিমে অংশগ্রহণ না করলেও কর্মচারীগণ নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর তারা মাসিক পেনশন পাবেন ২ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৩ হাজার ৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৪ হাজার ৫৯১ টাকা ও ৫ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৭ হাজার ৬৫১ টাকা করে।
৪। প্রবাস স্কিম, এর আওতায় বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা মাসিক ৫ হাজার টাকা, ৭ হাজার ৫০০ টাকা ও ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা জমা করতে পারবেন। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর তারা মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন ৫ হাজার টাকার স্কিমের জন্য ৭ হাজার ৬৫১ টাকা, ৭ হাজার ৫০০ টাকার স্কিমের জন্য ১১ হাজার ৪৭৭ টাকা ও ১০ হাজার টাকার স্কিমের জন্য মাসিক পাবেন ১৫ হাজার ৩০২ টাকা করে।
পরে কোন প্রকার হয়রানি ছাড়া নকলা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টার্গেট নিয়ে আলোচনাকালে বানেশ্বর্দী ইউনিয়নে টার্গেট পূরণে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।