
ছবি: জনি আহম্মেদ (সংগৃহীত ছবি)
নিউজ ডেস্ক।।
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফেসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়ে ১০ মিনিট পর লাইভে এসে জনি আহম্মেদ (২৩) নামের এক যুবক আত্মহত্যার চেষ্টা চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
ওই যুবক উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের নাজিমদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে এসে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁসি পরে সে।
এ ঘটনা টের পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে জনি আহম্মেদকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সূত্রে জানা যায়, জনি আহম্মেদ গত দুই বছর যাবত উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর এলাকার প্রশান্ত আরেং নামের এক গারো উপজাতির কন্যা লিরার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। লিরাকে বিয়ে করতে চাইলে তার পরিবার থেকে জনি আহম্মেদকে জানিয়ে দেয়া হয়, সে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করলেই কেবল তারা বিয়ে মেনে নেবেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার জনির পরিবারে বাকবিতণ্ডা হয়। জানা গেছে, জনি বিবাহিত এবং তার একটি তিন বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
একপর্যায়ে দুপুরে তার ফেসবুক প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়ে ও লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় জনি আহম্মেদ। ফেইসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে সে বলে, ‘নাকুগাঁও এলাকার প্রশান্ত আরেং এবং তার মেয়ে লিরা জোড় করে আমাকে খ্রিষ্টান ধর্মে নিতে চায়। তাদের কাছে আমি বিভিন্নভাবে দায়বদ্ধ, যে কারণে আমাকে খ্রিষ্টান ধর্মে যেতে বাধ্য করছে। আমি জানি আত্মহত্যা করা মহাপাপ, তাই আমি মরে গেলেও আমার ইসলাম ধর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে যাবো না। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ তারা যেন এর উপযুক্ত শাস্তি পায়। একজন মুসলিম হিসেবে এটা আপনাদের দায়িত্ব।’
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার ফাহাদ সাংবাদিকদের জানান, “জনি আহম্মেদকে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া জানান, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। তবে এ নিয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি।”