
দৈনিক শেরপুর ডেস্ক :
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার অটোচালক ইব্রাহিম খলিলের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের বাবা সেকান্দার আলীসহ পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে নালিতাবড়ীর পিপুলেশ্বর গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ফটিয়াকান্দি গ্রামের আমির উদ্দিনের মেয়ের সাথে ইব্রাহিম খলিলের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান আছে। সাংসারিক বিভিন্ন কারণে প্রায়ই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এ অবস্থায় তার স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের বাড়ি নিয়ে যান৷ এদিকে স্ত্রী শশুরবাড়ি চলে যাওয়ায় ইব্রাহিম ঢাকায় চলে গিয়ে সেখানে অটোরিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল৷ গত ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে কয়েকদিন পর গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ইব্রাহিম। এরপর ২৫ ডিসেম্বর সকালে ইব্রাহিমের মরদেহ তার শ্বশুরবাড়ির কাছে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার স্বজন ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করতেছি, ছেলের বৌয়ের পরকীয়ার জের ধরে ইব্রাহিম খলিলকে তার শশুরবাড়ির লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
স্থানীয় হাতেম আলী বলেন, ছেলেটা খুবই ভালো ও মিশুক স্বভাবের ছিল৷ আমরা কোনভাবেই বিশ্বাস করতে পারতেছিনা, আমরা সঠিক তদন্ত করে ইব্রাহিমের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচন চাই৷
এদিকে এ ঘটনার ২৯ ডিসেম্বর ইব্রাহিমের শশুরবাড়ির ৮জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে তার ভাই রফিকুল ইসলাম৷ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইব্রাহিমের স্ত্রী আমিরুনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি৷
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়৷ ময়নাতদন্তের পর আলামত সংগ্রহ করে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকা মহাখালী পাঠানো হয়েছে৷ রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। রিপোর্টে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে অপমৃত্যু মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে পরিণত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইব্রাহিম খলিলের মা আনু খাতুন, বাবা সেকান্দার আলী, ভাই রফিকুল ইসলাম, ছেলে আবুল হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।