নিজস্ব প্রতিনিধি :
শেরপুরের গারো পাহাড়ে বেড়াতে এসে পাহাড়ি নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে গিয়ে মামাতো ফুফাতো দুই ভাইয়ের সলিল সমাধি ঘটেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা পাহাড় সংলগ্ন ভোগাই নদীর লক্ষীডোবায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এরা হলো ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী মিহান (১৯) ও সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া সাজিত (১৩)। সাজিত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের স্কুল শিক্ষক আহাম্মদ আলীর ছেলে এবং মিহান ময়মনসিংহ সদরের উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ন কবীরের ছেলে।
নিহতদের সাথে বেড়াতে আসা স্বজনরা জানায়, সাজিত ও সাজিতসহ ১৮ জন মিলে পারিবারিকভাবে পানিহাতা পাহাড়ে বেড়াতে আসে তারা। দুপুরে পাহাড়ের গা ঘেঁষা ভোগাই নদীর লক্ষী ডোবার কাছাকাছি মামাতো ফুফাতো ওই দুই ভাই গোসল করতে নামে। এসময় তারা নদীর বালুচরে হাঁটতে গিয়ে অসাবধানতা বশত সাজিত পা পিছলে গভীরে তলিয়ে যেতে থাকে। এসময় তাকে বাঁচাতে মিহান এগিয়ে গেলে জড়াজড়ি করে দুই ভাই গভীরে তলিয়ে যায়। সাথে আসা তাদের চাচা সোহরাব মিয়া ভাগনে ও ভাতিজাকে বাঁচাতে নদীতে ঝাপ দিলেও তিনি নদীতে থাকা পাথরে আঘাত পেয়ে পড়ে যান। ততক্ষণে দুই ভাই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে বিকেল পৌনে চারটার দিকে নদীর তলদেশ থেকে দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন।
স্বজনরা আরও জানায়, একটি বিয়ে উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজন সবাই হালুয়াঘাটে সমবেত হন তারা। শুক্রবার বিয়ে শেষে শনিবার নারী ও শিশুসহ মোট ১৮ জন মিলে পানিহাতা বেড়াতে আসেন। এদিকে বেড়াতে এসে দুই ভাইয়ের সলিল সমাধির ঘটনায় স্বজনদের আহাজারি পাশাপাশি ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ বিষয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে দ্রুত জামালপুর থেকে নালিতাবাড়ী সীমান্তের পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে আসি। ডুবুরি নামানোর পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই দুই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।’