শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্ক বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বিপন্ন সম্পদের একটি অন্যতম অভিনব সংরক্ষণশীল অঞ্চল। এই ইকোপার্ক শেরপুর জেলার শেরপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এই প্রাকৃতিক অবলম্বনের বিস্তৃত এলাকা বাংলাদেশের মধ্যে একটি বিশেষ অবস্থান রয়েছে।
মধুটিলা ইকোপার্কের উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ, প্রজন্মের সুরক্ষা, বায়ু, জল, ও ভূমি সংস্থানের সম্পদ পরিচর্যা, উন্নত শিকারী প্রজাতিদের সংরক্ষণ, সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, এবং বাণিজ্যিক বৈষম্য সংঘর্ষের মাধ্যমে মানব উন্নতি ও প্রকৃতির সংঘর্ষ সমাধান করা।
এই ইকোপার্কে প্রায় ১৩০০ হেক্টর জমির উপর প্রাকৃতিক বনজীবনের সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখানে পাঁচটি প্রাকৃতিক বন পাওয়া যায়, যেমন সার্কুলার রুবি, হলিউক্রিন ও নবগাছা সারবান্ডহ। এই সংরক্ষণশীল এলাকায় নির্যাতিত সার্কুলার রুবি গাছ এবং প্রাচীন কোন উল্লেখযোগ্য বৃক্ষগুলি অন্যতম আকর্ষণীয়। মধুটিলা ইকোপার্কে বিভিন্ন জীবজন্তু ও প্রাণী প্রজাতির সংরক্ষণ করা হয়, যেমন বন্য হাতি, হরিণ, বানর, ময়ূর ও অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রাণী ও উদ্ভিদগুলি।
ইকোপার্কে একটি শিকারী সংরক্ষণ কেন্দ্র ও অধিক প্রাকৃতিক অবলম্বনের সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করা হয়। এই কেন্দ্রে প্রাকৃতিক অবলম্বনের সংরক্ষণ ও উন্নত মানবিক সম্পদ সম্পর্কে শিক্ষামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
শেরপুর জেলা সদর থেকে মধুটিলা ইকোপার্কে যাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো:
**1. পরিবহন ব্যবস্থা:**
মধুটিলা ইকোপার্কে পৌঁছার জন্য সবচেয়ে সাধারণ পরিবহন ব্যবস্থা হলো বাস এবং মাইক্রোবাস। শেরপুর জেলা সদর থেকে ইকোপার্কে পর্যটকদের সহজেই বাসে করে অথবা ভাড়ায় চালিত সিএনজিতে করে যেতে পারেন। এছাড়াও, অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে অবস্থানবিশেষ দিয়ে যেতে হবে।
**2. সময়সূচী:**
যাত্রা করার আগে সঠিক সময়সূচি নিয়ে অবস্থান নিয়ে নিন। মধুটিলা ইকোপার্ক সময়সূচি মোতাবেক খোলা থাকে, তবে সর্দি ও গ্রীষ্মকালীন পর্যটকদের জন্য সঠিক আবছায়া ও জামাকাপড় সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে যেতে হবে।
**3. ভ্রমণের পরিকল্পনা:**
মধুটিলা ইকোপার্ক ভ্রমণে অগ্রগতি নিতে আগে পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণকারীদের মনে রাখা উচিত যে, এখানে প্রাকৃতিক অবলম্বনের সংরক্ষণে সঠিক সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।