নিজস্ব প্রতিবেদক :
পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জিনাত আরা বলেছেন, পাট থেকে সরে গিয়ে পলিথিনকে আপন করে নিয়ে আমরাই আমাদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে নিয়ে গেছি। তাই আমাদেরকে প্রকৃতির কাছে ফিরে আসতে হবে নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই। আমরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারি আমাদের ডাক্তারের ফি দিতে হবে। তাই আমরা আগেই ইনভেস্ট করি যেন আমাদের পরিবেশটা রক্ষা পায় আমরা রক্ষা পাই। এতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মটাও ভালো থাকবে।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পাট অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা পর্যায়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে পণ্যে পাটজাত মোরকের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পাট অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা পর্যায়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে পণ্যে পাটজাত মোরকের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পাট বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পাট চাষ ও বীজ তৈরি বৃদ্ধিতে কাজ করছে বর্তমান সরকার। পলিথিন মাটির সাথে মিশতে সময় লাগে শতবছর। তাই পলিথিন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। পাটের চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের স ধরণের সহযোগিতা করবে সরকার। সকলেই যেন আইন মেনে পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারে উৎসাহিত হন।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক খাদিজা জেসমিন, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, জেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল বাতেন, শেরপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, আকন্দ জুট মিলের ম্যানেজার মো. আলমগীর, চাল ফল মিল মালিকদের মধ্যে মো. শরাফত আলী, মো. জিয়ার আলী। এসময় বিভিন্ন স্তরের পাট জাত দ্রব্য ব্যবসায়ী ও পাট চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পাট ব্যবসায়ীরা বলেন, পাটকে সোনালি আঁশ বলা হয়। পাট আমাদের দেশীয় পণ্য। আমরা দীর্ঘদিন থেকে পাটজাত দ্রব্য বাজারে বিক্রি করছি। কিন্তু শেরপুরের ব্যবসায়ীদের মাঝে পাটজাত দ্রব্য ব্যবহারে অনীহা রয়েছে। পলিথিন ব্যবসার কারণে পাটজাত পণ্য তৈরির কারখানা গুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হলে আমরা যেমন লাভবান হব তেমনি পরিবেশ ভালো থাকবে।
এছাড়াও চাতাল ব্যবসায়ীরা বলেন, শেরপুর একটি ধান-চাল সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার প্যাকেট চাল বাজারজাত করা হয়। এজন্য প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে বর্ষাকাল ও শীতকালে ঠান্ডা বেশি থাকায় চালের আর্দ্রতা ঠিক থাকে না কিন্তু পলিথিনের বস্তায় চাল থাকলে কোন ক্ষতি হয় না। বর্ষা ও শীতকালে পাটের ব্যাগে চাল থাকলে চাল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও পাটের বস্তায় পোকাড় আক্রমণ হলেও পলিথিনের বস্তায় সেটির সম্ভাবনা কম। সেজন্য চাতাল ব্যবসায়ীদের জন্য পলিথিন ব্যবহারে ছাড় দেওয়ার অনুরোধ থাকবে।