নিহত সুমন মিয়া ও প্রেমিকা আন্নির যুগল ছবি (সংগৃহীত) সংযুক্ত।
নিজস্ব প্রতিনিধি :
অপহরণের ৭ দিন পর শেরপুর সরকারিকলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন মিয়ার (১৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাত দেড়টায় তার প্রেমিকা আন্নির অপর বয়ফ্রেন্ড রবিনের বাড়ির উঠান থেকে তার মরদেহ মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে পুলিশ।
এর মাধ্যমে অবশেষে উন্মোচিত হলো অপহৃত শিক্ষার্থী সুমন মিয়া ত্রিভুজ প্রেমের বলি হওয়ার পুরো চিত্র। নিহত সুমন শহরের কসবা বারাকপাড়া (নিমতলা) এলাকার কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আন্নি আক্তার ও তার বাবা আজিম উদ্দিন মাস্টার এবং বয়ফ্রেন্ড রবিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ সূত্রে পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর সুমন কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আন্নির উপস্থিতিতে আরও ২-৩ জন মিলে জোরপূর্বক সুমনকে অপহরণ করে। পরদিন সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সুমনের বাবা।
গত কয়েকদিনেও সুমনের সন্ধান না পেয়ে তার মা-বাবা, স্থানীয় এলাকাবাসী ও কয়েকজন শিক্ষার্থী রোববার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুমনকে উদ্ধারসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
পরে সুমনের বাবা নজরুল ইসলামের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা সদর থানা পুলিশ রোববার রাতেই আন্নি ও তার বাবা আজিম মাস্টারকে গ্রেফতার করে। পরে ময়মনসিংহ থেকে আন্নির বয়ফ্রেন্ড রবিন ওরফে রনিকেও আটক করে পুলিশ। রবিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলার পুলিশ সদস্য ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের বাড়ির উঠানে গর্ত খুঁড়ে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আর এতে ঘনবসতিপূর্ণ সজবরখিলা এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক সূত্রের ধরনা আন্নির ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছে সুমন মিয়া। এ ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন, এলাকাবাসি ও সহপাঠীরা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে লাশ উদ্ধার রাতেই মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। দোষীদের দ্রুত কঠিন শাস্তির মুখে দাড় করানো হবে।