নিজস্ব প্রতিনিধি :
শেরপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৩৭৫ পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির টাকাসহ রহিমা বেগম (৫৮) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এসময় ওই মহিলার ছেলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩৯) পালিয়ে যায়।
সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এই যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। রোববার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙা গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়। আটক রহিমা বেগম ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের স্ত্রী।
শেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ১২ টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙা গ্রামে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় মাদক বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই গ্রামের নূর মোহাম্মদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশিকালে রহিমা বেগমের হাওলায় থাকা ৩৭৫ পিস ইয়াবা এবং মাদক বিক্রির ৫৬ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও মজুদের অপরাধে রহিমা বেগমকে আটক করা হয়। অভিযানের খবর টের পেয়ে রহিমা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৯) আগেই পালিয়ে যায়।
এ অভিযানে সেনাবাহিনীর ১৩ বীরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান হাফিজুল হক, সেনাবাহিনীর শেরপুর ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর তাওসিফ বিন হাসান, ক্যাপ্টেন নাহিয়ান, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহমেদ জানান, আমরা শেরপুরকে মাদকমুক্ত করতে সর্বদা প্রস্তুত। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও নগদ টাকাসহ রহিমা বেগমকে আটক করি। তার ছেলে রফিকুলকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকে আটকের জন্য অভিযান চলছে। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।