স্টাফ রিপোর্টার।।
শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ও ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুলতান মাহমুদ (৩০) নামের ওই মাদ্রাসা শিক্ষক কাম ইমাম জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হরিণধরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবার আজ রবিবার (৪ আগস্ট) সকালে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। এর আগে শনিবার সুলতান মাহমুদকে আটক করে সদর থানা পুলিশ। মামলার পর আজ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত ওই মামলায় সুলতান মাহমুদ ও তার সহযোগী সিফাত আহমদকে আসামি করা হয়। সুলতান মাহমুদ ইসলামপুর উপজেলার কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইয়াছিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম। অন্যদিকে সিফাত আহমেদ স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তিনি একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ফেসবুকের মাধ্যমে ৫-৬ মাস আগে সুলতান মাহমুদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চার সন্তানের জনক এবং দুইজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে সুলতান। প্রায় দুই মাস আগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার এক বাসায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে সুলতান। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই আবারো তাকে একই বাসায় নিয়ে তাঁর বন্ধু মাদ্রাসা শিক্ষক সিফাত আহমেদের সহযোগিতায় আবারও ধর্ষণ করেন।
ওই ছাত্রীকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একই বাসায় নিয়ে এলে স্থানীয় লোকজন সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশে দেন। এ সময় পালিয়ে যান সিফাত আহমেদ। পরে আজ রবিবার সকালে শেরপুর সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ও সিফাত আহমেদকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘আমাদের আইন’ এর শেরপুর জেলার সভাপতি নূর ই আলম চঞ্চল বলেন, “সুলতান মাহমুদ একজন ইমাম ও মাদ্রাসার শিক্ষক। ওনার দুই জন স্ত্রী আছেন। ধর্ষণের ঘটনায় আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছি। এরপর থানায় সোপর্দ করেছি। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”