
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
শেরপুরে ঐতিহাসিক কাটাখালী যুদ্ধ দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই ) ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের কালিবাড়ী বাজার এলাকায় কাটাখালী ব্রীজে শহীদ নাজমুল আহসান চত্বরে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, র্যালি ও বৃক্ষরোপন এবং শহীদ নাজমুলের মুড়ালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও সামাজিক সংগঠন ‘আমরা আঠারো বছর’ শেরপুর এর আয়োজনের অনুষ্ঠানের শুরুতে এক বর্ণাঢ্য র্যলি অনুষ্ঠিত হয়। র্যলি শেষে নাজমুল আহসান এর মুড়ালে পর্যায়ক্রমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রশাসন। পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে শহীদের মুড়ালের সামনে সালাম প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর -৩ আসনের সংসদ সদস্য এডিএম শহিদুল ইসলাম। আমার আঠারো বছর শেরপুর সংগঠনের ঝিনাইগাতী উপজেলার আহ্বায়ক তুষার আল নূর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন পিপিএম। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল, সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম হিরু প্রমুখ ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজকের এইদিনে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাটাখালী ব্রীজ ভাঙতে আসা মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখযুদ্ধে একই পরিবারের তিন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজমুল আহসান, মোফাজ্জল হোসেন ও আলী হোসেনসহ ১২ জন শহীদ হন।
সরকার মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালে শহীদ নাজমুল আহসানকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন কাটাখালি’ ও রাঙ্গামাটিয়া যুদ্ধের সরকারি স্বীকৃতি মিলেছে।
কমান্ডার নাজমুল হাসানের নামে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হল নির্মাণ ও নালিতাবাড়ীতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে । এছাড়াও সড়ক ও জনপথ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে কাটাখালী ব্রীজ চত্বরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শহীদ নাজমুল আহসান চত্বর ও পার্ক।