স্টাফ রিপোর্টার।।
বৃষ্টি থেমে থাকায় শেরপুরের পাহাড়ি নদী মহারশি, সোমেশ্বরী, ভোগাই ও চেল্লাখালীর পানি কমেছ। এতে শেরপুরের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
তবে উজানের পানি নেমে গিয়ে ভাটি এলাকায় বিস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ৩০/৩৫ টি গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙ্গে গেছে। এতে চলাচলে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন ওইসব এলাকার বাসিন্দারা।
তবে আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, বিকাল থেকে আবারো হালকা বৃষ্টিও হচ্ছে। বৃষ্টি বাড়লে বন্যা পরিস্থিতি আবারও অবনতি হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, সবগুলো নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর ভাঙা বাঁধে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।
শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলায় ২০ হেক্টর রোপা আমনের বীজ তলা, ১৫ হেক্টর আউশ এবং ৯৮ হেক্টর সবজি খেত আংশিক নিমজ্জিত হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, ১৩৫ হেক্টর আউশ ও ১২৬ হেক্টর সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৫ হেক্টর রোপা আমন বীজলা আংশিকভাবে এবং ২০ হেক্টর রোপাআমন বীজতলা সম্পূর্ণভাবে পানিতে ঢুবে গেছে।
ঝিনাইগাতীর ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল জানান, উজান থেকে পানি নেমে গিয়ে এখন নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্থ সব রাস্তাঘাট, বাধ ও কালভার্ট সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, আজ সদর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত ৪ টি পরিবারের মাঝে ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন ১৮ জনকে ৬ হাজার করে টাকার চেক এবং কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এই সাহায্য কার্যক্রম চলবে।