
নিজস্ব প্রতিনিধি :
শেরপুর জেলা শহরের একটি দোকান থেকে ৫৫টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সেট চুরি করে নিয়ে যাবার পথে রঘুনাথ বাজার থানার মোড়ে টহল পুলিশের হাতে আটক করেছে আন্তঃজেলা চুর চক্রের ৭ সদস্য। আটককৃতদের একজন শেরপুর, একজন লক্ষ্মীপুর, একজন চট্টগ্রাম, দুইজন কুমিল্লা ও দুইজন ঢাকা জেলার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে টহল পুলিশের অভিযানে তাদের আটক করা হয়। এ সময় চোরদের কাছ থেকে তিনটি ব্যাগে রাখা ৫৫টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
দোকানে ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেট রঘুনাথ বাজার এলাকার কোরাইশী কমপ্লেক্সে অবস্থিত ‘মাহি টেলিকম’ এ দুর্ধর্ষ চুরির ওই ঘটনাটি ঘটে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের রঘুনাথ বাজার থানার মোড় এলাকায় সদর থানার টহল পুলিশের হাতে আটক হয় চুর চক্রের ৭ সদস্য। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি রড কাটারসহ ৫৫ টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ।
আটককৃতরা সবাই আন্তঃজেলা চোর চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় আটককৃতরা হলো- শেরপুর সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় রহমান (২৫), লক্ষ্মীপুর জেলার কমল নগর উপজেলার চর সামসউদ্দিন গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে রাসেল (২৩), চট্টগ্রাম জেলার সন্ধীপ উপজেলার মাইক ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আঃ কুদ্দুসের ছেলে রিয়াজু (৩৫), কুমিল্লা জেলার মোরাদ নগর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে মো. হোসেন (৩২), একই উপজেলার বিল্লালপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ইউনুস (৩৫), ঢাকা জেলার লালবাগ শহিদ নগর এলাকার আবদুলের ছেলে রানা (৩০) ও একই জেলার লালবাগ এলাকার বাবুলের ছেলে মো. ফারুক (২৪)।
পুলিশ ও দোকান মালিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে মাহি টেলিকমের মালিক মো. কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যান। রাতে চোর চক্রের সদস্যরা কোরাইশী কমপ্লেক্সের প্রধান গেটের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ৫৫টি নতুন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন চুরি করে। চুরি করা ফোনগুলো নিয়ে পালানোর সময় সদর থানার এসআই আইনাল হকের নেতৃত্বে টহল পুলিশের সদস্যদের কাছে হাতেনাতে আটক হয় তারা।
মাহি টেলিকমের স্বত্বাধিকারী মো. কামারুজ্জামান মিন্টু তালুকদার জানান, তার দোকানের চুরি হওয়া ফোনগুলোর মূল্য আনুমানিক ১১ লাখ টাকা।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আবদুল করিম বলেন, ‘এঘটনায় শেরপুর সদর থানার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’