
ছবি: বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে রাখা সোমালিয়ার জলদস্যুদের চারদিক থেকেই ঘিরে ফেলা হচ্ছে। জাহাজটিকে নজরদারিতে রেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী ‘অপারেশন আটলান্টা’। সোমালিয়ার ভূমি থেকে যাতে কোনো সহযোগিতা না পায় সেই অভিযান চালাচ্ছে দেশটির পুলিশ। বিবিসি সোমালি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের কমান্ডার মোহাম্মদ আলী আহমেদ মারদুউফ বলেন, ‘আমরা এখন তীরে আছি। জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আমরা পূর্বাঞ্চলে একটি অভিযান শুরু করেছি, যাতে জলদস্যুরা নিজেদের সংগঠিত করতে না পারে এবং এই এলাকার ভূমি থেকে আর কোনো সহযোগিতা না পায়। সমুদ্রের অংশে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ঘেরাওয়ের মধ্যে আছে। তাই সেদিক থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন।’
এরইমধ্যে জাহাজটিতে থাকা দস্যুদের জন্য ‘খাত’ নামের এক ধরনের মাদক সরবরাহের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পান্টল্যান্ড পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহর কাছেই একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী অপারেশন আটলান্টা। তাদের টুইটারে পোস্ট করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে এমভি আবদুল্লার পাশে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন রয়েছে। জাহাজটির ওপর দিয়ে চক্কর কাটছে নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।
পুলিশ কমান্ডার মারদুউফ বলেন, ‘জাহাজে থাকা জলদস্যুদের হাতে এখন দুটি বিকল্প আছে। হয় তারা পান্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করবে, অথবা আগের জাহাজ, অর্থাৎ বিদেশি বাহিনী যেমন এমভি রুয়েন থেকে জলদস্যুদের ধরে নিয়ে গেছে, সেই পরিণতি ভোগ করতে হবে।’