
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক হচ্ছে সাত কলেজ। ২০২৪-২৫ সেশন, অর্থাৎ চলতি বছর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে।
আজ সোমবার দুপুরে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।
এসময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছ। এ সিদ্ধান্তের আলোকে আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে ২০২৪-২০২৫ থেকে ঢাবির অধীনে আর ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
গতরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় জরুরি সভায় বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাত কলেজের অধ্যক্ষরা। বৈঠকে যে পাঁচ সিদ্ধান্ত হয়–
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণ;
২. আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে;
৩. শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার সুপারিশ;
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং
৫. যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
সাত কলেজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ভার এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির হাতে। সাত কলেজের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নে গত ডিসেম্বর মাসে চার সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও ইউজিসির একজন সদস্য এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।