
নিউজ ডেস্ক।।
শেরপুরে নকলায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখছে তার স্বামী। আজ শনিবার সকালে নকলার পিপরাকান্দি এলাকায় ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির বসতঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম শাহিদা বেগম। তিনি নকলার পিপরাকান্দির আকতার মিয়ার মেয়ে এবং কামারিয়া গ্রামের আরিফ মিয়ার স্ত্রী।
মরদেহ উদ্ধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের মিয়া। ঘটনার পর থেকেই স্বামী আরিফ মিয়াসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
গৃহবধূর স্বজনরা জানান, প্রায় আট মাস আগে নকলার পিপরাকান্দির আকতার মিয়ার মেয়ে শাহিদার বিয়ে হয় একই উপজেলার কামারিয়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে আরিফ মিয়ার সাথে। বিয়ের সময় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের একটি গরু দেওয়া হয় আরিফকে। এরপরেও আরিফ আরও চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আরিফ ও তার পরিবার মিলে শাহিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এর জেরে ২০ দিন আগে শাহিদা তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। গতকাল শুক্রবার আরিফ মিয়া শ্বশুর বাড়িতে আসে। রাতে খাওয়া শেষে স্বামী স্ত্রী একই ঘরে শুয়ে পড়ে কিন্তু আজ শুক্রবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে শাহিদার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আরিফ পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহিদার মা ময়না বেগম বাদি হয়ে আরিফ মিয়াসহ চারজনকে বিবাদী করে নকলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বলেও জানিয়েছে স্বজনরা।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বলেন, ‘শাহিদা বেগম নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ভিক্টিমের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।