দৈনিক শেরপুর ডেস্ক।।
শেরপুরে গতরাতের সংঘর্ষে নিহত মিজানুর রহমান (৩৫) ও আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (৩২) এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর শহরের গৌরিপুর মৈত্রীবাড়ী মাঠে নিহতদের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত মিজান গৌরীপুর মহল্লার বাসিন্দা হাফেজ আজাহার আলীর ছেলে। শ্রাবণ একই মহল্লার মো. দেলোয়ার হোসেন মিন্টু মিয়ার ছেলে।
নিহতদের জানাজায় গণমানুষের ঢল নামে এবং হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জানাজা শেষে তাঁদের মরদেহ শহরের নৌহাটা পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় মোবাইল ফোনে যুক্ত হয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হজরত আলী।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির জয়েন সেক্রেটারি ফজলুর রহমান তারা সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ মিয়া, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও হাসানুর রেজা জিয়া প্রমুখ। বক্তাগণ হানাহানি না করে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান এবং দোষীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতরাত ১১ টায় (৯ সেপ্টেম্বর) শহরের খোয়ারপাড়ে গৌরিপুর ও খোয়ারপাড় কোদলাপাড়া মহল্লাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হন। পরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী টহল জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত আরিফুল ইসলাম শ্রাবণের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ।