
সংগৃহীত ছবি: পাহাড়ধ্বসে বন্ধ রাস্তা চলাচল উপযোগী করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক।।
রাঙামাটি সহ দেশের মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় ৮টি জেলার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এদিকে রাঙামাটি জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
খবরে প্রকাশ বন্যায় রাঙ্গামাটি জেলায় ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলাতেই ডুবেছে ১২ হাজারের বেশি ঘর-বাড়ি। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে ফসলের জমি, ভেসে গেছে মৎস্য খামার। টানা বৃষ্টির কারণে অন্তত ২০টি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার এর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ‘রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি, মানিকছড়িসহ আরও কয়েকটি এলাকায় তিন শতাধিক ঘর-বাড়ি ডুবেছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি বহু মানুষকে উদ্ধার করে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
এদিকে পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, শিমুলতলীসহ ঝুকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। মহালছড়ি এলাকায় সড়কে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি আন্তঃজেলা যান চলাচল। আজ সকাল থেকেই দুর্গত এলাকায় ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন জানান, জেলায় ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটলেও কোথাও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রাণহানি এড়াতে জেলায় ৭৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।
সংগৃহীত ছবি: কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি স্লুইসগেট।
এদিকে কাপ্তাই হ্রদের পানির আপডেট নিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)।আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পানি ছিল ১০৩ এমএসএল। আরও ছয় এমএসএল বাড়লে পানি ছাড়তে হবে এবং ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে মাইকিং নয়, গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হবে।