
নিউজ ডেস্ক।।
সারাদেশের ন্যায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোডের দাবিতে শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম বিরতি চলছে।
৫ এপ্রিল (রবিবার) শেরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতিতে যোগ দিয়ে অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় সময় উপস্থিত বিভিন্ন পার্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের বক্তব্যে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০), ছয় মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রনোদনা প্রদান ও এপিএ বোনাস সমহারে না দেওয়া, লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারীকে প্রদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না দেয়া, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) ও বিলিং সহকারীদের নিয়মিত না করা, এবং এসকল কারণ ছাড়াও স্বারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করা; পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এসব শোষন, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষে বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে আমাদের এই কর্মবিরতি আরম্ভ করা হয়েছে।
এ সময় তারা আরও বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এসকল বৈষম্য দূরীকরণ ও সার্ভিস কোড বাস্তবায়নে প্রয়োজনে আমাদের দাবী সমুহ আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি চলতেই থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে এ কর্মবিরতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। নানা প্রয়োজনে সেবা নিতে অফিসে আসা গ্রাহকদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদের কেউ কেউ বলেন, এমনিতেই এই তীব্র গরমে লাগাতার লোডশেডিংএ তারা অতীষ্ঠ। তার উপর এই কর্মবিরতি তাদের ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।