নিউজ ডেস্ক।।
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর সদ্য সন্তানহারা স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী মোঃ কানন মিয়া (২৫)‘কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কানন মিয়া নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯.৫০ ঘটিকায় ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কানন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্প।
সূত্র জানায়, ভিকটিম সদ্য তার একমাত্র ছেলে হারা। তিন বছর আগে একই গ্রামে বিয়ে হয় তার। জীবিকার তাগিদে ঘটনার ৯ মাস আগে তার স্বামী মালয়েশিয়ায় গমন করেন। কিন্তু আসামি রাজিব ও কানন মিয়ার লালসার শিকার হয়ে তার সবকিছু শেষ হয়ে যায়।
জানা যায়, আসামি রাজিব ও কানন মিয়া এক রাতে কৌশলে ভিকটিমের ঘরে ঢুকে রাজিব তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আর কানন মিয়া মোবাইলে সেই ভিডিও ধারণ করে। এরপরও তারা নানাভাবে হুমকিসহ কু-প্রস্তাব দিতে থাকলে ভিকটিম তার সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় বসবাসরত বাবা-মায়ের কাছে চলে যায়। কিন্তু গত ১০ নভেম্বর ২০২৩ ভিকটিমের ছেলেটি মারা যায়। তাই সকলেই তারা গ্রামে চলে আসেন। এর ৪ দিন পর মেয়ের বাড়িতে রেখে তার মা-বাবা ঢাকায় চলে যান। কিন্তু সদ্য সন্তান হারানোর শোকে কাতর ভিকটিমকে আসামিরা পূর্বের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে আবারো কুপ্রস্তাব দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে কানন মিয়া ভিকটিমকে ফোন করে তার সামনেই অশ্লীল ভিডিও ডিলিট করার কথা বলে কৌশলে তাকে রাজিবের বাড়ীতে ডেকে আনে। পরে দুজনে মিলে সেখানেই তাকে জোরপূর্বক লাগাতার ধর্ষণ করে এবং আবারো মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সেই অশ্লীল ভিডিও বিভিন্নজনের মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। পরে ঘটনা জানতে পেরে তার বাবা বাড়ীতে এসে মেয়ের নিকট বিস্তারিত ঘটনা শুনে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।
সেসময়ে ওই নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। ধৃত আসামিকে নালিতবাড়ী থানায় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।