নিউজ ডেস্ক।।
শেরপুরে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের পাশে ১৫ দিনের খাবার নিয়ে কক্সবাজারের স্বনামধন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিল্ডেন অব বাংলাদেশ’। হোপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
বন্যায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, গৃহপালিত জীবজন্তুর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এ ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের জন্য রান্না করা খাবার ও ১৫ দিনের শুকনা খাবার যেমন- চাল, ডাল, তেল, আলু প্যাকেট পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
হোপ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. রুহুল আমিন এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন।
মো. রুহুল আমিন জানান, প্রতিদিন ৮০০ জন বন্যা কবলিত মানুষের হাতে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও শতাধিক পরিবারের জন্য ১৫ দিনের শুকনা খাবার তুলে দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অত্র এলাকার সন্তান হিসেবে আমি আমাদের মানবতার প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সদর উপজেলার ৬ নং পাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মিয়া, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. চানঁ মিয়া এই খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘কক্সবাজার থেকে হোপ ফাউন্ডেশন এতদূরে শেরপুরে এসে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে এই জন্য আমরা হোপ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি, হোপ ফাউন্ডেশনের মতো বাংলাদেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে ও জরুরি ভিত্তিতে বন্যা কবলিত এলাকায় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানাই।
হোপ ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর কে. এম. জাহিদুজ্জামান জানান, “বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লাগছে। আমেরিকার “Bangladesh Medical Association of North America” এবং “Humanity Beyond Barriers” এই মানবিক কাজে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেছে তাই প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি মানবিক কাজেও হোপ ফাউন্ডেশন সব সময়ই সরকারের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’
হোপ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আমেরিকা প্রবাসী ডা. ইফতিখার উদ্দিন মাহমুদ জানান, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই হোপ ফাউন্ডেশন অসহায় ও দরিদ্র গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। হোপ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’