ছবি: মাইসাহেবা মসজিদ, শেরপুর
আজ ‘জুমাতুল বিদা’। রমজানের শেষ জুমার দিনকে জুমাতুল বিদা বলা হয়ে থাকে। যদিও ইসলামে এমন কোন দিবসের কথা আলাদা করে বলা হয়নি বা বিশেষ পবিত্র দিবস হিসাবেও ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবুও অনেক মুসলমান এই দিনটিকে বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন।
জুমার জামাতের প্রমাণ আল-কুরআনের সূরা আল-জুমুআ এর ৯ম আয়াতে (জামাত, শুক্রবার) উল্লেখ করা হয়েছে:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
অর্থ: মুমিনগণ, জুমআর দিনে যখন নামাযের আযান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ।
হাদিসের ভাষায়, জুমার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। নির্ভরযোগ্য হাদিস গ্রন্থগুলোতে জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে একাধিক বর্ণনা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম।
রমজানে ইবাদত সম্পর্কে আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বল, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক আদম সন্তান ভালো কাজের প্রতিদান দশ থেকে সাতশ’ গুণ বেশি পাবে। রোজা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ নিজেই এর প্রতিদান দিবেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৭)
রমজান মাস এসেছিল কোরআন, সিয়াম, কিয়াম ও তাকওয়ার উপহার নিয়ে। সীমাহীন ফজিলতের মাস রমজান। উম্মতে মোহাম্মাদীর জন্য মহান আল্লাহর বিশেষ উপহার মাহে রমজান। রমজানের এই শেষ জুমার পর আবারো রমজানের জুমার জন্য একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। হয়তো অনেকের জীবনে এই দিনটি আর ফিরে আসবে না। তাই অনেক মুসলমান এই দিনে একটি বড় অংশ ইবাদত বন্দেগীতে ব্যয় করেন।