দৈনিক শেরপুর ডেস্ক :
শেরপুর সদর উপজেলায় সাদিয়া বেগম (১৩) নামের এক বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুবায়দুল আলম।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের সাহাব্দীর চর দশানীপাড়া গ্রামের একটি ভুট্টা খেত থেকে ওই কিশোরীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। নিহত সাদিয়া বেগম সাহাব্দীর চর গ্রামের জনৈক জামাদার মিয়া ও মারুফা দম্পতির মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান ওই কিশোরীকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহত কিশোরী সাদিয়ার মা মারুফা বেগম দাবি করেন, জমাদারের সৎভাই আব্দুল আজিজ ও আব্দুল হালিমের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে। তারাই সাদিয়াকে খুন করেছে। তবে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্যও এ ঘটনা ঘটানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এ খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য জমাদার মিয়াকে খোঁজছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, সদর উপজেলার সাহাব্দীর চর গ্রামের কমর আলীর ছেলে জামাদার মিয়ার সাথে তার ভাইসহ একই গোষ্ঠীর লোকজনের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। রোববার রাতের কোন এক সময় বাকপ্রতিবন্ধী সাদিয়া বেগমকে তাদের বসত বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে কে বা কারা হত্যা করে তার রক্তাক্ত লাশ জামাদার মিয়ার ক্ষেতেই ফেলে রেখে যায়। সোমবার সকালে এলাকাবাসী সাদিয়ার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সাদিয়া বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক বিন হাসান বিকেলে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পর থেকে মেয়েটির মা ছাড়া বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং এর সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে। একইসাথে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে।