নিজস্ব প্রতিনিধি :
‘দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে পুলিশ। শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটাতে আগামী দিনে যারাই নাশকতা করবে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবেনা।’ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে জেলার সুশীল সমাজের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান।
পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আওয়াল চৌধুরী, পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, জেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাদল, খেলাফত মজলিসের সভাপতি আব্দুল হালিম, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুকসিতুর রহমান হীরা, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বাদল, ডায়াবেটিস সমিতির সভাপতি রাজিয়া সামার ডালিয়া, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি ড. মো. আশরাফুর রহমান আরো বলেন, আগামী ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসসহ ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টানদের বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা শেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পাঁয়তারা করছে। এজন্য পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সমাজের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা আমাদের কারো ভাই, বোন বা নিকট আত্মীয়। তারা বিভিন্ন রূপে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। আমাদের উচিত হবে তাদেরকে শুদ্ধ হয়ে সমাজে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া। তা না হলে তারা কোন অবস্থায় ছাড় পাবে না। ফ্যাসিস্টদের বাঁচাতে যারা সহযোগিতা করবে তাদেরও আমরা চিহ্নিত করবো এবং সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় শেরপুর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান, র্যাব-১৪’র জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর আব্দুর রাজ্জাকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনী ও পুলিশের বিভিন্ন স্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।