নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস সোহেল রানা (১৯) হত্যা মামলায় জড়িত ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মোমিন @ মিন্টু (২৭), সাইদ মাসুম @ বাবু (২২) ও নাজবুল হক (২০) নামের ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪ জামালপুর ও র্যাব-৫ রাজশাহী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটায় রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কানাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মো. মোমিন @ মিন্টু ও মো. সাইদ মাসুম @ বাবু গোদাগাড়ী উপজেলার চর কানাপাড়ার মো. সেনাউল হকের ছেলে এবং মো. নাজবুল হক একই উপজেলার উত্তর কানাপাড়ার কালাম মিয়ার ছেলে।
১৯ নভেম্বর সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৪ জামালপুরের অপারেশনস্ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, নিহত সোহেল রানা রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আমতলা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। গত ২১ অক্টোবর বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করায়।
র্যাব জানায়, নিহত সোহেল রানা (১৯) প্রায় ৪ বছর পূর্বে অবৈধ পথে ভারত গিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকে। ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি সোহেল। গত ১৮ অক্টোবর সে তার মাকে মোবাইল ফোনে ভারত হতে বাংলাদেশে আসবে বলে জানায়। এদিকে গত ২১ অক্টোবর সকালে সোহেলের গ্রামের জনৈক বাবু (৩৫) কে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মোবাইলে ফোনে সোহেলের লাশ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ে পড়ে আছে বলে জানায়। খবর পেয়ে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সোহেল রানাকে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহতের চাচা টুটুল মিয়া (৫০) বাদী হয়ে গত ২১ অক্টোবর নালিতাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১৫) দায়ের করেন। মামলার পর ছায়া তদন্তে নামে র্যাব-১৪ জামালপুর। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, ধৃত আসামীদেরকে নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।