নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ীতে পৃথক ঘটনায় ষাটোর্ধ্ব দুই ব্যক্তি খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় খুন হয়েছেন নকলায় আইয়্যুব আলী (৬৫) এবং নালিতাবাড়ীতে মজিবর রহমান ওরফে ময়েজ উদ্দিন (৬৫)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। উভয় ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নকলা উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুনীগাও মধ্যপাড়ায় একটি পুকুর থেকে বৃদ্ধ আইয়্যুব আলীর (৬৫) গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের দছির উদ্দিন মেম্বারের ছেলে এবং পেশায় একজন দর্জি। প্রতিদিনের মতো দর্জির কাজ করতে প্রতিদিনের মতো নকলায় দোকানে যান তিনি। তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওই পুকুরে তাঁর মরদেহ দেখতে পান।
স্বজনদের অভিযোগ, জমিজমা নিয়ে ভাতিজা মুকুল মিয়াদের সঙ্গে আইয়ুব আলীর দীর্ঘদিন হতে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে তারাই আইয়ুব আলীকে খুন করেছে। স্বজনদের অভিযোগে নিহতের ভাতিজা মুকুল মিয়া (৪৫) ও তাঁর দুই ছেলে মহসিন হাসান (২৩) এবং জিহান হাসানকে (২০) পুলিশ আটক করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নকলার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নিহতের গলায়, বুকে ও চোখের ওপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। পরিবারের প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তিনজনকে আটক করেছি। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে গতকাল বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলার কালিনগর গ্রামে আপন শ্যালকের হাতে খুন হয়েছেন মজিবর রহমান ওরফে ময়েজ উদ্দিন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের শ্যালক ইউনুছ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মজিবর রহমান উপজেলার আয়নাতলী গ্রামের মৃত মীরু শেখের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন হতে শ্বশুরবাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জবেদ আলী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানার মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ জানায়, বাড়িতে বেড়া দেওয়া নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে ময়েজ উদ্দিনকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন তার শ্যালক ইউনুছ আলী। এতে গুরুতর আহত হন মজিবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয় তাকে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নালিতাবাড়ি থানা ওসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা গ্রহণ করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।